সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, ‘দেশব্যাপী ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি প্রকল্পের মাধ্যমে সরকার বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র থেকে ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি সেবা ক্রয় করে মাঠ পর্যায়ে ৬৪ জেলায় লাইব্রেরি সেবা প্রদান করে যাচ্ছে। প্রকল্পটি ২০২০ সালের ডিসেম্বরে শেষ হবে।’
তিনি বলেন, ‘দেশব্যাপী তৃণমূল পর্যায়ে বইপড়া আন্দোলনকে ছড়িয়ে দিতে ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি কার্যক্রমকে কীভাবে স্থায়ী রূপ দেয়া যায়, সে ব্যাপারে চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। তদুপরি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী মুজিববর্ষ উপলক্ষে ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি কার্যক্রমের মাধ্যমে ইউনিয়ন পর্যায়ে বইপড়া আন্দোলনকে ছড়িয়ে দিতে পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।’
গণগ্রন্থাগার অধিদফতরের মহাপরিচালক জাহানারা পারভীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আবু সায়ীদ ও দেশব্যাপী ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি প্রকল্পের পরিচালক এসএম কামরুজ্জামান।
আরও উপস্থিত ছিলেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা মাহবুব জামিল ও গণগ্রন্থাগার অধিদফতরের সাবেক মহাপরিচালক আশীষ কুমার সরকার।
অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আবু সায়ীদ বলেন, ‘কাগজ থেকে ডিজিটাল বইয়ের দিকে আমরা যাচ্ছি। তারপরও বইয়ের আবেদন থাকবে। এটা ফুরিয়ে যাবে না। শোনা যাচ্ছে, শতকরা ৫০ ভাগের বেশি ডিজিটাল বই করা যাবে না, তারমানে ৫০ ভাগ হলেও কাগজের বই থাকবে। আমাদের বাংলাদেশের রয়েছে বিশাল জনসংখ্যা। এ জনসংখ্যাকে বইয়ের মাধ্যমে আলোকিত করা গেলে তা আমাদের জন্য বিরাট সম্পদ ও শক্তিতে পরিণত হবে।’
১ জুলাই ২০১৮ থেকে ৩১ ডিসেম্বর ২০২০ মেয়াদী ‘দেশব্যাপী ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি প্রকল্প’ এর মাধ্যমে বর্তমান চলমান ৪৬টি ভ্রাম্যমাণ গাড়ি-লাইব্রেরিতে অতিরিক্ত আরও ৩০টি গাড়ি-লাইব্রেরি যুক্ত হলো। যার ফলে মোট গাড়ি-লাইব্রেরির সংখ্যা দাঁড়াল ৭৬টি। এ গাড়ি-লাইব্রেরির মাধ্যমে দেশের ৬৪ জেলার ৩০০০ স্পট/এলাকায় ৭৫ হাজার নতুন পাঠক তৈরি করা হবে এবং প্রায় ৩ লক্ষাধিক পাঠকের দোরগোড়ায় ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি সেবা পৌঁছে দেয়া হবে। এসব এলাকায় সাধারণ মানুষ বিশেষ করে কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের উৎসাহ প্রদান ও সুযোগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে ৫০০টি সাংস্কৃতিক সংঘ গঠন এবং ৬০০০টি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হবে।
Planning and Implementation: Cabinet Division, A2I, BCC, DoICT and BASIS