১৬ আগস্ট ২০১৬ মঙ্গলবার বিকেল ৩.০০টায় সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে কেন্দ্রিয় গণগ্রন্থাগারসহ দেশের ৩০(ত্রিশ)টি গ্রন্থাগার আধুনিকায়নের (ডিজিটাল ও ই-গ্রন্থাগারে রূপান্তর) লক্ষ্যে গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তর ও ব্রিটিশ কাউন্সিলের মধ্যে ‘সমঝোতা স্মারক’ স্বাক্ষরিত হয়েছে।
গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আশীষ কুমার সরকার ও ব্রিটিশ কাউন্সিলের কান্ট্রি ডিরেক্টর Barbara Wickham স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানের পক্ষে এতে স্বাক্ষর করেন। এসময় সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব আক্তারী মমতাজসহ মন্ত্রণালয় ও দুই প্রতিষ্ঠানের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
এ সমঝোতা স্মাক্ষর ৫ বছরের জন্য স্বাক্ষরিত হলো এবং স্বাক্ষরের দিন অর্থাৎ আজ থেকে তা কার্যকর হবে।
সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে সংস্কৃতিমন্ত্রী বলেন, একটি জ্ঞানদীপ্ত আধুনিক সমাজ বিনির্মাণে গ্রন্থাগারের বিকল্প নেই। গ্রন্থাগার আলোকিত মানুষ তৈরি করে। তরুণ প্রজন্মকে যদি আমরা প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষিত করে গড়ে তুলি তাহলে সে আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়ে উঠবে। এক্ষেত্রে তাদেরকে গ্রন্থাগারমুখী করার উপর তিনি গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের সবক্ষেত্রে আধুনিক প্রযুক্তির ছোঁয়া লেগেছে। এক্ষেত্রে সরকারি গণগ্রন্থাগারগুলোও পিছিয়ে নেই। কেন্দ্রিয় গণগ্রন্থাগারসহ দেশের গণগ্রন্থাগারগুলোকে ডিজিটাল ও ই-গ্রন্থাগার করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তর ও ব্রিটিশ কাউন্সিলের মধ্যে আজ যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হলো তা একটি তাৎপর্যবাহী ঘটনা। এর মাধ্যমে আমরা ই-গ্রন্থাগার যুগে প্রবেশ করতে যাচ্ছি। এটি বাস্তবায়নের মাধ্যমে একদিকে যেমন গণগ্রন্থাগাগুলোতে পাঠক সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে অন্যদিকে পাঠকদের কাছে গ্রন্থাগারকে পৌঁছে দেয়া সম্ভব হবে।
Bill & Melinda Gates Foundation (BMGF) এর অর্থায়নে ব্রিটিশ কাউন্সিল কর্তৃক বাস্তবায়িতব্য এ প্রকল্পের নাম হলো- Libraries Unlimited । এ প্রকল্পের পরিচালক দিদারুল চৌধুরী।
এ প্রকল্পের আওতায় ১৮ মাসব্যাপী একটি পাইলট ফেজ এর জন্য ১.৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (১৪ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা প্রায়) অর্থায়নে কেন্দ্রিয় গণগ্রন্থাগারসহ দেশের ৩০(ত্রিশ)টি গ্রন্থাগারকে আধুনিকায়ন তথা ডিজিটাল ও ই-গ্রন্থাগারতে রূপান্তর করা হবে।
Planning and Implementation: Cabinet Division, A2I, BCC, DoICT and BASIS